জব ২: ওয়াটার কুলার ইউনিট ফ্লাসিং, লিক টেস্ট, চোক টেস্ট, ভ্যাকুয়াম করে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা
পারদর্শিতার মানদন্ড
- স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা
 - প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা
 - অক্সি - অ্যাসিটিলিন ডি-ব্রেজিং এর মাধ্যমে এ্যাপ্লায়েন্সেসের কন্ডেন্সার বিচ্ছিন্ন করা
 - ড্রাই নাইট্রোজেনের মাধ্যমে সিষ্টেমকে ক্লিনিং ও ফ্লাশিং করা
 - কম্প্রেসরের ডিসচার্জ লাইনে কন্ডেনসারের ইনলেট প্রান্ত অক্সি-অ্যাসিটিলিন ব্রেজিং সম্পন্ন করা
 - কন্ডেনসারের আউটলেট ফিল্টার ড্রায়ারের এক প্রান্ত অক্সি-অ্যাসিটিলিন ব্রেজিং সম্পন্ন করা
 - ড্রায়ারের অপর প্রান্ত এক্সপানশন ভাল্বের সাথে ব্রেজিং সম্পন্ন করা
 - ড্রাই নাইট্রোজেনের মাধ্যমে সিষ্টেমের চোক ও লিকেজ টেস্ট করা
 - কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস টু ষ্টেজ মাল্টি ভ্যান রোটারী টাইপ ভ্যাকুয়াম পাম্প দিয়ে পরপর তিন বার ইভাকুয়েশন করা
 - প্রতিবার ৫০০ মাইক্রোন লেভেল অর্জন করে তিন স্তরে ভ্যাকুয়াম হোল্ডিং এর মাধ্যমে ভ্যাকুয়াম সম্পন্ন করা
 - নির্মাতা নির্দেশিত ওজন ও রেফ্রিজারেন্ট দিয়ে বিধি মোতবেক রেফ্রিজারেন্ট চার্জ সম্পন্ন করা
 - কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেসের বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদান পূর্বক ইউনিট চালু করা এবং ইউনিটের কর্মদক্ষতা যাচাই করা
 - কাজ শেষে ওয়ার্কপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা
 - অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা
 - ওয়েস্টেজ এবং স্ক্যাপ গুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলা
 - কাজের শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেয়া
 
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)
গ) মালামাল (Raw Materials)
ঘ) কাজের ধারা
১. অক্সি -অ্যাসিটিলিন ডি-ব্রেজিং এর মাধ্যমে এ্যাপ্লায়েন্সেসের কন্ডেন্সার বিচ্ছিন্ন করা।
ক. টিউব কাটারের সাহায্যে ড্রায়ার ফিল্টারটি কেটে আলাদা করো;
খ. অক্সি -অ্যাসিটিলিন ডি-ব্রেজিং এর মাধ্যমে এ্যাপ্লায়েন্সেসের কন্ডেন্সার, ইভাপোরেটর বিচ্ছিন্ন করো ।
২. ওয়াটার কুলার ইউনিট ফ্লাসিং করো ।
ক. কন্ডেনসার,ইভাপোরেটরের এক প্রান্তে নন রির্টান ভাল্ব লাগাও এবং ড্রাই নাইট্রোজেন দিয়ে প্রেসার দেও;
খ. অপর প্রান্ত আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধর। যখন প্রেসার তৈরি হবে তখন ছেড়ে দেও। এভাবে বারবার করতে থাক ।
৩. ওয়াটার কুলার ইউনিট লিক নির্ণয় করো ।
ক. ইউনিটের সাথে হাই প্রেসার গেজ ও ড্রাই নাইট্রোজেন সিলিন্ডারের হোজ পাইপ সংযোগ করো;
খ. চিত্র অনুয়ায়ি ইউনিটে ৭০-৭৫ পি.এস.আই, ড্রাই নাইট্রোজেন প্রেসার দাও;
গ. প্রেসার দিয়ে অপেক্ষা কর এবং লক্ষ কর গেজ মিটারের কাটা নেমে যাচ্ছে কিনা।গেজ মিটারের কাটা নেমে গেলে বুঝতে হবে ইউনিটে লিক আছে;
ঘ. টিউবের বিভিন্ন জয়েন্টে ও সন্দেহজনক স্থানে সাবান ফ্যানা ধরো;
ঙ. লক্ষ কর কোথা থেকে সাবান ফ্যানার বাবল তৈরি হচ্ছে । যেখান থেকে বাবল তৈরি হচ্ছে সেখানেই লিক আছে ৷
৪. ওয়াটার কুলারের লিক মেরামত করো।
ক. ওয়াটার কুলারের চার্জিং লাইন খুলে ড্রাই নাইট্রোজেন বের করে দাও;
খ. মডিউল ৫ এর ১ অথবা ২ নং জব অনুসরণ করে ওয়েল্ডিং অথবা লকরিং জয়েন্টের মাধ্যমে লিক মেরামত করো;
৫. ওয়াটার কুলার ইউনিটের কম্পোনেন্টগুলি জোড়া দাও এবং চোক টেষ্ট করো ।
ক. কম্প্রেসরের ডিসচার্জ লাইনে কন্ডেনসারের ইনলেট প্রাপ্ত অক্সি-অ্যাসিটিলিন ব্রেজিং করে জোড়া দাও;
খ. কম্প্রেসরের সাকশন লাইনে ইভাপোরেটরের আউটলেট প্রাপ্ত অক্সি-অ্যাসিটিলিন ব্রেজিং করে জোড়া দাও;
গ. ক্যাপিলারি টিউবের প্রান্ত ড্রায়ার ফিল্টারের সাথে ব্রেজিং করে জোড়া দাও;
ঘ. ইউনিটটি চালু কর এবং চোক টেষ্ট (ড্রায়ার ফিল্টারের অপর প্রান্ত থেকে বাতাশ ভেতরের দিকে টেনে নেবে) করো;
ঙ. কন্ডেনসারের আউটলেট ফিল্টার ড্রায়ারের এক প্রান্ত অক্সি-অ্যাসিটিলিন ব্রেজিং করে জোড়া দাও;
৬. সিষ্টেমটি ভ্যাকুয়াম করো ।
ক. চিত্র অনুযায়ি ইউনিটের সাথে হোজপাইপ, গেজ মেনিফোল্ড, ভ্যাকুয়াম পাম্প, সঠিক রেফ্রিজারেন্ট সিলিন্ডার স্থাপন করো;
খ. ভ্যাকুয়াম পাম্পে বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেও ও পাম্পটি চালু করো;
গ. গেজ মেনিফোল্ডের সকল ভাল্ভ খুলে দেও;
ঘ. কম্পাউন্ড গেজের কাটা - ২৯.৯ ইঞ্চি অব মার্কারিতে নামা পর্যন্ত ভ্যাকুয়াম পাম্পটি চালু রাখ;
ঙ. কম্পাউন্ড গেজের কাটা - ২৯.৯ ইঞ্চি অব মার্কারিতে নেমে গেলে হাই প্রেসার গেজ মিটারের ভাল্বটি বন্ধ করো;
চ. ভ্যাকুয়াম পাম্পটি বন্ধ কর এবং আনপ্লাগ করো ।
৭. গ্যাস চার্জ করো ।
ক. গ্যাস সিলিন্ডারের ভাল্বটি খুলে ফেল;
খ. কম্পাউন্ড গেজে মিটারের ভাল্বটি খুলে ফেল;
গ. রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করে সঠিক (রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী) চার্জিং প্রেসার তৈরি কর এবং কম্পাউন্ড গেজ মিটারের ভাল্বটি বন্ধ করো;
ঘ. সাপ্লাই লাইনে ক্লিপ অন মিটার সংযোগ করো;
ঙ. বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ করে ইউনিটি চালু করো;
চ. রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী, রানিং প্রেসার ও অ্যাম্পিয়ার সঠিক (ইনফরমেশন শিটে উল্লিখিত) আছে কিনা লক্ষ করো:
ছ. রেগ্রিজারেন্ট অনুযায়ী, রানিং প্রেসার ও অ্যাম্পিয়ার কম হলে পুণরায় রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করে সঠিক রানিং প্রেসার ও অ্যাম্পিয়ার তৈরি করো।
৮. পরিপূর্ণ গ্যাস চার্জ হয়েছে কিনা পর্যবেক্ষণ করো।
ক. ইনফরমেশন শিট অনুযায়ী সঠিক গ্যাস চার্জিং এর লক্ষণ গুলি মেলাও ও সঠিক তথ্য ডাটা শিটে লেখ;
খ. লক্ষণ গুলি মিলে গেলে গ্যাস সিলিন্ডারের ভাল্বটি বন্ধ কর এবং হোজ পাইপ, গেজ মেনিফোল্ড খুলে ফেল,
গ. চার্জিং লাইনটি পিক্ষিং টুলস এর সাহায্যে সিদ্ধ করো;
ঘ. গেজের ভাল্ব অল্প খুলে দেখ রেফ্রিজারেন্ট বের হয় কিনা। বের হলে আবার ও সিল্ড কর। বের হওয়া বন্ধ হলে গ্যাস ওয়েল্ডিং বা সোল্ডারিং আয়রন দিয়ে ঝালাই কর এবং নন রিটার্নের মাথায় একটি ডেড ক্যাপ দিয়ে বন্ধ করো।
কাজের সতর্কতা
- অবশ্যই নিরাপত্তা মূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করে কাজ করতে হবে
 - কিছু রেফ্রিজারেন্টে আগুন ধরার সম্ভাবনা থাকে বিধায় সতর্কতার সাথে কাজটি করতে হবে
 - কাজটি করতে কোন প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন হলে অবশ্যই শিক্ষক/ট্রেইনারকে জানাতে হবে
 
আত্মপ্রতিফলন
ওয়াটার কুলার ইউনিট ফ্লাসিং, লিক টেস্ট, চোক টেষ্ট, ভ্যাকুয়াম করে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে ।
Read more